পোস্টটি পড়া হয়েছে 86,889 বার
কম্পিউটার সায়েন্স ক্যারিয়ার, cse jobs in bangladesh, CSE career in Bangladesh

প্রোগ্রামিং ছাড়াও CSE গ্র্যাজুয়েটদের আছে অনেক চাকুরি

Post updated on 14th June, 2019 at 08:50 pm

কম্পিউটার সায়েন্সে ভর্তি হবার পর Hello World প্রিন্ট করে পুলকিত হয় নি এমন ছেলেপুলের সংখ্যা খুবই কম। এরপর কিছু যোগ-বিয়োগের প্রোগ্রাম, হালকা পাতলা IF-ELSE এর condition checking পর্যন্ত করতে করতেই মনে মনে গুগল-মাইক্রোসফট বানিয়ে ফেলার স্বপ্ন দেখা শুরু হয়। নানা বর্ণের স্বপ্নে চোখে ঘোর লাগে ‘কম্পিউটারকে কাজে লাগিয়ে অনেক কিছু করে ফেলব’ এই প্রত্যাশায়। কিন্তু বাগড়াটা শুরু হয় LOOP এর মধ্যে গিয়ে! লুপ যত প্যাচায়, আমরা লুপের ভিতরে প্যাচাতে থাকি। ফলাফল হচ্ছে অসংখ্য ভবিষ্যত গুগল-মাইক্রোসফটের স্বপ্নের পরিসমাপ্তি। ছেড়ে দেয় ছেলেপেলে প্রোগ্রামিং। ভার্সিটির চার বছর ‘কোন মতে’ পার করে দেয়ার একটা চিন্তা। ‘বড় ভাই’দের সান্ত্বনাবাণীঃঃ “সিএসই পাশ কইরা কেউ বেকার থাকে না”। ফাইনাল ইয়ার প্রোজেক্ট করার সময় আরেক দফা মনে ইচ্ছা জাগে “আবার সি শেখা শুরু করি। চেষ্টা করলে কী না সম্ভব?”

চেষ্টা করলে হয়ত সবই সম্ভব। কিন্তু সেই চেষ্টা করার সুযোগ বা অবস্থা অনেকেরই থাকে না। প্রোগ্রামিং এ সুবিধা করতে না পেরে এক পর্যায়ে হতাশ হয়ে ধরেই নেয় “মোড়ের দোকানে কম্পিউটার কম্পোজ এর বিজনেস শুরু করা ছাড়া আর গতি নাই”। তখন প্রোগ্রামিং তো করেই না, এই আইটি সেক্টরে কাজে লাগে এমন কোন কিছুও করে না। হয়ত প্রোগ্রামিং তার জন্য না। অন্য কোন দিকে চেষ্টা করলে সে ভাল করতে পারত। কিন্তু সঠিক গাইড লাইন আর ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে হতাশ হয়ে প্রোডাক্টিভ কাজ থেকে দূরে থাকে। আজকের এই পোস্টটি সকল কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সাবজেক্টে পড়ুয়াদের (প্রোগ্রামার ও নন-প্রোগ্রামার) জন্য। যারা প্রোগ্রামিং না জেনে হতাশ। এটা বলার জন্য এই ব্লগ পোস্টের অবতারণা যে, প্রোগ্রামার হওয়া ছাড়াও চাকরির অনেক সুযোগ রয়েছে। আবার এটা মনে করলেও বিপদ যে “প্রোগ্রামার হওয়া ছাড়াও যদি চাকরি পাওয়া যায়, তাইলে আর প্রোগ্রামিং শিখার প্যারা নেয়ার কী দরকার?” দরকার এই জন্যেই যে প্রোগ্রামিংটা জানা থাকলে আপনার অনেকগুলো রাস্তা খোলা থাকবে। যে পথে সুবিধা বা যে পথে হেঁটে আপনি সুখ পান তাতে হাঁটবেন। কিন্তু না জানা থাকলে সে পথের দেখাও পাওয়া অসম্ভব।

প্রোগ্রামার হিসেবে বা প্রোগ্রামিং জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার

আপনি যদি প্রোগ্রামিং এ ভাল হন আর প্রোগ্রামিংটাকে সত্যিকারার্থেই ভালবাসেন তাহলে আপনার সামনে অসংখ্য চাকুরির হাতছানি আসবে।

Junior programmer পদে প্রথমত ফ্রেশার হিসেবে আপনি জয়েন করতে পারেন কোন সফটওয়্যার ফার্মে। এমন হতে পারে এতদিন আপনি কাজ করে এসেছেন জাভাতে। এখন আপনাকে কাজ করতে হচ্ছে পিএইচপিতে। যেহেতু আপনি ব্যাসিক প্রোগ্রামিং ও এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখেন। তাই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ তেমন কোন বড় বিষয় নয়। অনেক বড় বড় আউটসোর্সিং কোম্পানী আছে যাদের প্রোগ্রামাররা কয়েক মাস পরপরই তাদের স্ট্যাক চেঞ্জ করেন। যখন যেই প্রোজেক্ট আসে সেই প্রোজেক্টে কাজ করতে হয় তাই ঐ কাজের জন্য শিখে কাজ ডেলিভারি দিতে হয়। ঘন ঘন প্ল্যাটফর্ম পরিবর্তনে কিছু সুবিধা ও অসুবিধাও আছে।

Senior programmer পদে সাধারণত একদম ফ্রেশাররা জয়েন করতে পারেন না। কিছু এক্সপেরিয়েন্স হলে এই পদে পদোন্নতি পাওয়া যায়। জুনিয়র ও সিনিয়র উভয় প্রোগ্রামারই নিজ হাতে কোড লিখে থাকেন।

Project manager হচ্ছেন এমন ব্যক্তি যিনি পুরো প্রোজেক্টটার কাজ প্রোগ্রামারদেরকে বুঝিয়ে দিবেন এবং তাদের থেকে কাজ বুঝে নিবেন। এই পদের লোকদের সরাসরি কোডে হাত দিতে হয় না। কিন্তু ভাল প্রোগ্রামিং জানা থাকার দরকার হয়। সরাসরি প্রোজেক্ট ম্যানেজার পদে কোন ফ্রেশারকে নেয়া হয় না। প্রোগ্রামার হিসেবে বেশ খানিকটা অভিজ্ঞতা হওয়ার পরেই এই পদে আসা যায়।

System Analyst সাধারণত সরাসরি ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারদের সাথে deal করেন না। তাদের কাজ হচ্ছে কোন একটা প্রোজেক্ট শুরু করার আগে সেটা নিয়ে রিসার্চ করে পুরো সিসটেমটা ডিজাইন করা বা সিসটেমটা কিভাবে কাজ করবে তার পরিকল্পনা করা। সিসটেম এনালিস্টও কোড করেন না কিন্তু প্রোগ্রামিং, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং, ডেটাবেজ ইত্যাদি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন। সিসটেম এনালিস্ট যিনি হন তারও থাকে প্রোগ্রামার হিসেবে কাজ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা।

Researcher পদটি আমাদের দেশের কোম্পানিগুলোতে তেমন একটা দেখা না গেলেও বাইরের দেশের খুব বড় মাপের কোম্পানিগুলোতে থাকে। রিসার্চাররা হয়ে থাকেন ভয়ংকর মাপের প্রোগ্রামার বা প্রবলেম সলভার। তাদের কাজ বসে বসে কোড করা না। বরং তাদের প্রোডাক্টের পারফরমেন্স বাড়ানো, ইফিসিয়েন্সি বাড়ানো, সিকিউরিটি বাড়ানো ইত্যাদি। তারা বিভিন্ন এলগরিদম, ডেটা স্ট্রাকচারের উপর রিসার্চ করে সেগুলোকে আরো অপটিমাইজ করে প্রোজেক্টে ইমপ্লিমেন্ট করার রিকমেন্ডেশন দেয়।

ডেটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, আর্টিফিশিয়াল নিউরাল নেটওয়ার্ক, ডেটা মাইনিং, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সহ অসংখ্য advance ও extra advance টপিক রয়েছে। আগামীর দিনগুলোতে থাকবে এই বিষয়গুলোর উপর তীব্র মাত্রার এক্সপেরিমেন্ট আর নতুন নতুন সাফল্য। বলাই বাহুল্য যে, এই সবগুলো বিষয়ের মূলে রয়েছে গণিত আর সেই লেভেলের প্রোগ্রামিং। তাই এই সেক্টরগুলোতে কাজ করতে আগ্রহী হলে algorithmic problem solving এর কোন বিকল্প নাই।

সরাসরি প্রোগ্রামিং করতে হয় বা এর আসেপাশের আরো অনেকগুলো পদ থাকতে পারে বা উপরের পদগুলোরই ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে (যেমন- সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, সফটওয়্যার আর্কিটেক্ট এগুলার জব রেসপন্সিবিলিটি ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে), যেগুলোর জন্য প্রোগ্রামিং এর জ্ঞান থাকা আবশ্যক। আমি এখানে একদম ব্যাসিক, কমন আর জানা-শোনার মধ্যে যেই পদগুলো আছে সেগুলোর উল্লেখ করেছি। যদিও এগুলোকে উল্লেখ করা হয়েছে সিএসই গ্র্যাজুয়েটদের জব হিসেবে কিন্তু সিএসই পড়া ছাড়াও নিজ যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারলে এই পদগুলোতে অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট থেকেও আসা সম্ভব।

প্রোগ্রামিং এর দক্ষতা প্রয়োজন নেই যে সব চাকুরিতে

যে কোন কারণেই হোক, আপনি যদি প্রোগ্রামিং এর প্রতি আগ্রহী না হন বা মনে হয় এই সেক্টরে গিয়ে আপনি খুব ভাল কিছু করতে পারবেন না তাহলে হতাশ হয়ে যাবার কিছু নাই। ধরেই নিন প্রোগ্রামিং জিনিসটা আপনার সাথে ঠিক যায় না। বিরাট আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে আমার ধারণা প্রোগ্রামারের চেয়ে নন-প্রোগ্রামারদের সংখ্যাই বেশি। নিচের কোন একটা পজিশনের জন্য আপনি নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন। অথবা গুগলে সার্চ করে এ বিষয়ে আরো তথ্য জানতে পারেন। অনার্স শেষ করার পর নিজেকে এই পজিশনে দাঁড় করাবেন না প্লিজ… যে, আপনি নিজেই জানেন না আপনি কী করতে চান বা আপনি নিজেই নিশ্চিত নন আপনার দক্ষতার ব্যাপারে।

Quality Assurance Engineer (QA Engineer) এর কাজ হচ্ছে ডেভেলপ করা সফটওয়্যার বা সিসটেমের quality check করা। বিভিন্ন টুলস বা মেথডের মাধ্যমে পরীক্ষা নিরিক্ষা করা যে কোথাও কোন ত্রুটি রয়ে গেছে কিনা। QA হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের সরাসরি কোড করতে হয় না বা প্রোগ্রামিং এর খুব বেশি গভীর জ্ঞান থাকাও জরুরি না। তবে কোম্পানি ভেদে হয়ত ভাল প্রোগ্রামিং জানাটাও একটা requirement হতে পারে। বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টে কাজ করার অভিজ্ঞতাও চাওয়া হতে পারে। White box testing যেহেতু QA team এরই কাজ তাই প্রোগ্রামিং এর ব্যাসিক ধারণাটা অবশ্যই থাকা লাগবে।

UI/UX Designer এর চাহিদা সব ফার্মেই থাকে। UI ও UX ডিজাইন সম্পূর্ণ আলাদা দুটি বিষয়। User Interface Designer যদিও কোড করেন তবে সেগুলো ঠিক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ না বা এগুলো ডিজাইন করার জন্য problem solving skill প্রয়োজন হয় না। যেমন HTML, CSS, XML বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে কোন সফটওয়্যার/App/website এর Front end বা UI ডিজাইন করা। আর UX হচ্ছে আরো বিরাট একটা বিষয়। ইউএক্স ডিজাইনারের কাজ হচ্ছে পুরো সফটওয়্যারটা কিভাবে ডিজাইন করলে ইউজাররা সবচেয়ে বেশি কমফোর্ট ফিল করবেন সেটা ডিজাইন করা। ব্যবহারকারীদের বয়স, তাদের রুচি, তাদের পেশা ইত্যাদির কথা মাথায় রেখে ইউএক্স ডিজাইনাররাই সিদ্ধান্ত নিবেন কোন একটা এপের ব্যাকগ্রাউন্ড কালার কী হবে? বাটনগুলো কোথায় বসবে? বাটনের কালার কতটা লাইট বা ডিপ হবে ইত্যাদি। তো এই বিষয়ের জন্যেও প্রোগ্রামিং জানা থাকা প্রয়োজন নেই। তবে HTML, CSS, Photophop এই জিনিসগুলো জানা থাকা লাগে। আর ইউএক্সের উপর করতে হয় দীর্ঘ পড়াশোনা ও ব্যবহারিক গবেষণা।

Research Analyst হিসেবে কাজ করার জন্যও প্রোগ্রামিং দরকার হয় না। একজন রিসার্চ এনালিস্টের কাজ হচ্ছে কোম্পানি যে ধরণের কাজ করে সে সম্পর্কে বিভিন্ন ডেটা সংগ্রহ ও এনালাইসিস করা। যেমন কোন একটা কোম্পানি একটা চ্যাটিং এপ বানাতে চাচ্ছে। তখন রিসার্চ এনালিস্টের কাজ হবে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ ও সেগুলোর উপর রিপোর্ট করা। এই ধরনের আর কী কী এপ আছে, সেগুলোর সুবিধা কী, অসুবিধা কী, মানুষ কেন সেগুলো ইউজ করে বা করে না, ওগুলোর রেভিনিউ মডেল কী? ইত্যাদি সকল তথ্য নিয়ে রিপোর্ট করা। এক কথায় বলতে গেলে এই পদের মানুষের কাজ হচ্ছে সারাদিন রীতি মত গুগল করা। আপনার যদি গুগল করতে মজা লাগে তাহলে এই জবের জন্য ফার্মগুলোতে এপ্লাই করতে পারেন।

Operation Executive নামের এই পদটির ব্যাপারে জানলাম এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে। তিনি টেলিকমুনিকেশন থেকে পাশ করে একটা নামী কোম্পানিতে উক্ত পদে চাকরি করছেন। তার কাজ হচ্ছে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে কাজ বুঝে ডেভেলপারদেরকে বুঝিয়ে দেয়া। আবার ডেভেলপারদের কাছ থেকে টাইম টু টাইম কাজগুলো বুঝে নিয়ে ক্লায়েন্টের কাছ থেকে ভেরিফাই করে নেয়া। পুরোপুরি প্রোজেক্ট ম্যানেজার না। এটা প্রোজেক্ট ম্যানেজারের চেয়ে নিচের পজিশন। ক্লায়েন্টের সাথে ফোনে বা স্কাইপে মিটিং করা। বাজেটের ব্যাপারে কখনো সখনো নেগোসিয়েশন করা। দুই পক্ষের মধ্যকার চুক্তিপত্র প্রস্তুত করা ও সকল ডকুমেন্টস সংরক্ষণ করা ইত্যাদি কাজকর্ম তাদের করতে হয়। এই পজিশনের জন্য কোন প্রোগ্রামিং নলেজ থাকা লাগে না। তবে কমুনিকেশন স্কিল হতে হয় দূর্দান্ত লেভেলের! আপনার বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতে কথা বলা আর লেখার দক্ষতা থাকলে আল্লাহ চাইলে দুনিয়ার যে কোন নন-টেকনিক্যাল কাজে আপনি ফিট হতে পারবেন।

IT Support Executive নামের একটা পজিশন প্রায় সব সফটওয়্যার ফার্মেই থাকে। বা একই কাজের জন্য ভিন্ন নামের পদও থাকতে পারে। ইনার কাজ হচ্ছে কোম্পানির ক্লায়েন্টদেরকে যে কোন সমস্যায় সাপোর্ট দেয়া। যেমন কোন ক্লায়েন্ট একটা সফটওয়্যার নিয়েছেন আপনার কোম্পানির থেকে, এখন কোন একটা অপশন খুঁজে পাচ্ছে না বা কোন একটা ফাংশন কাজ করছে না। তখন ফোনে, স্কাইপিতে বা Team viewer এর মাধ্যমে যেভাবেই হোক সেটা সমাধান করা। অথবা ক্লায়েন্টের প্রবলেমটা টুকে নিয়ে ডেভেলপার বা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের কাছে পাঠানো। কোম্পানি ভেদে সাপোর্ট ইঞ্জিনিয়াররাও কল সেন্টার বা হেল্প ডেস্কে বসতে পারেন।

Documentation Writer নামে কোন জব পোস্ট আছে কিনা নিশ্চিত না কিন্তু এই পোস্টের কাজ সব ফার্মেই আছে। কোন একটা সফটওয়্যার বা সিসটেম ডেভেলপ করা হলে এর ডকুমেন্টেশন বা ইউজার ম্যানুয়াল রেডি করতে হয়। এছাড়াও প্রোজেক্ট প্রোপজাল তৈরি করা, সেগুলো মেইল-টেইল করার কাজও ইনাদের করা লাগতে পারে।

IT Executive পদটি মাঝারি থেকে বড় প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানেই থাকে। কোন একটা কোম্পানি যেখানে ৩০-৪০ টা কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এরকম যে কোন ধরণের প্রতিষ্ঠানেই আইটি এক্সিকিউটিভ প্রয়োজন হয়। এই চাকরির দায়িত্ব হচ্ছে কম্পিউটারগুলোর দেখা শোনা করা। সেগুলোর কোনটায় কোন রকম ঝামেলা হলে সেটা ঠিক করা। এগুলোকে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা। কোম্পানির বিভিন্ন ডকুমেন্টসগুলো সফট কপি আকারে সংরক্ষণ করা। মোট কথা আইটি এক্সিকিউটিভ এমন একটা পদের নাম যে পদের মানুষটার কাজ হচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আইটি সাপোর্ট দেয়া। প্রতিষ্ঠান ভেদে এই চাকুরিরও দায়িত্ব কম-বেশি হয়। নেটওয়ার্কিং, অপারেটিং সিসটেম এই বিষয়গুলোর উপর দক্ষতা থাকতে হয়। তবে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেই এই পদে চাকুরি শুরু করার পর গুতাগুতি করতে করতেই শেখা হয়।

DBA (Database Administrator) পদটি বেশ সম্মানজনক। আর এই পদের দায়-দায়িত্বও অনেক বেশি। ডেটাবেজ নিয়ে কাজ করার জন্য সরাসরি সেরকম প্রোগ্রামিং জ্ঞান প্রয়োজন হয় না। এই বিষয়ের উপর বিভিন্ন কোর্স করা যায়। Query language জানা থাকতে হয় খুব ভাল মত। সার্ভার সংক্রান্ত জ্ঞান যেমন পারফর্মেন্স ইস্যু বা ডেটাবেজে কিভাবে ডেটা থাকে ইত্যাদি বিষক জ্ঞান থাকতে হয়। বড় বড় সব প্রতিষ্ঠানে সাধারণত ওরাকল ডেটাবেজ ব্যবহার করা হয়। ওরাকল জানা DBA এর বেশ ভাল চাহিদা রয়েছে।

Network Engineer এর কাজ হচ্ছে কোন একটা প্রতিষ্ঠানের কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের দেখ ভাল করা। অবস্থা ভেদে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব সার্ভার স্থাপন, কনফিগারেশন ইত্যাদির কাজও নেটওয়ার্জ ইঞ্জিনিয়ারের করা দরকার হয়। পুরো নেটওয়ার্কের সিকিউরিটি, ইফিসিয়েন্সি, ব্যান্ডউইথ ম্যানেজমেন্ট বিবিধ ব্যাপার নিশ্চিত করাও এই পদের লোকদের কাজ। নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার জন্য সাধারণ CCNA কোর্স করার প্রয়োজন হয়। আমি ব্যক্তিগত ভাবে এ ব্যাপারে তেমন কিছুই জানি না। CCNA Vendor করা এক ছোট ভাই বলল নেটওয়ার্কিং লাইনে খুব ভাল কিছু করার জন্যেও প্রোগ্রামিং জানা দরকার।

Tech Writer হিসেবে কাজ করতে পারেন যদি আপনার লিখালিখি করতে ভাল লাগে। অসংখ্য পত্রিকা, ওয়েব পোর্টাল, ব্লগ বা টেকনোলজি সাইট রয়েছে। চাইলে নিজেই ব্লগ খুলে টেকনিক্যাল বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানের ব্লগ লিখে আয় করতে পারেন যে কোন চাকরির চেয়ে বেশি। বাংলাদেশেও কয়েকটি প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েব পোর্টাল রয়েছে বা পত্রিকাগুলোতেও আইটি পাতা রয়েছে। এগুলোর জন্য লিখতে পারেন।

Telecommunication sector এর চাকুরি অনেকের কাছেই লোভনীয়। প্রোগ্রামিং জানা লোকজন যেমন দরকার, নন-প্রোগ্রামার কিন্তু আইটি সম্পর্কে, নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জ্ঞান রাখে এমন লোকেরও দরকার। এর পাশাপাশি দেশে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ও মোবাইল কোম্পানি কাজ করছে। এসব কোম্পানিতেও EEE, CSE graduate-দের কদর রয়েছে।

Banking sector সহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানেই কম্পিউটার সায়েন্সে গ্র্যাজুয়েট বা আইটির জনবল প্রয়োজন হয়। ব্যাংকের ডেটাবেজ রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য লোক দরকার হয়, ব্যাংকের নিজস্ব সিসটেমের সাপোর্ট দেয়ার জন্য লোক দরকার হয়, তাদের ওয়েব সাইট বা মোবাইল এপের দেখাশোনার জন্যেও লোকজন প্রয়োজন হয়। বর্তমানে সকল ব্যাংকই পুরোপুরি ভাবে সফটওয়্যার ও ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। তাই এখানে কী পরিমাণ আইটি স্পেশালিস্ট প্রয়োজন তা অনুমান করা যায়। যদিও অধিকাংশ ব্যাংকের সুদী লেনদেনের কারণে অনেকেই ব্যাংকিং সেক্টরটা এড়িয়ে চলেন।

আরো রয়েছে শিক্ষকতা, কোন প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট বিষয়ে ট্রেইনার হিসেবে কাজ করা, স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বা গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া, ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সার হওয়া, টিম ফর্ম করে আইটি ফার্ম দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি কাজের ক্ষেত্র বিদ্যমান।

এগুলো ছাড়াও খুঁজলে হাজারটা চাকুরির পদ পাওয়া যাবে। তবে শংকার বিষয় হচ্ছে চাকুরি অনেকই আছে, কিন্তু পছন্দ মত চাকুরি পাওয়াটা কষ্টকর, যদি কোন বিষয়ের উপর এক্সপার্ট না হওয়া যায়। দেখা যাবে সবই পছন্দ হচ্ছে কিন্তু বেতনটা কম, আবার বেতনও ঠিক আছে কিন্তু ৩ জনের কাজ এক জনকে দিয়ে করিয়ে নিতে চাইবে। কোন না কোন ঝামেলা থাকাটাই স্বাভাবিক।

ভার্সিটিতে ভর্তি হবার পর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় আমরা পার করি। এই সময়টার মূল্য সবচেয়ে বেশি। আর এই সময়টাই আমরা সবচেয়ে বেশি নষ্ট করি। বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা ফেল ঠেকানোর জন্য দুই-চারটা প্রোগ্রাম মুখস্ত করে। যারা প্রোগ্রামিং এ আনন্দ পায় না তারা বলে তাদের প্যাশন নেটওয়ার্কিং এ। কিন্তু দিন শেষে দেখা যায় তাদের নেটওয়ার্কিং এর দৌড়ও কয়েকটা নেটওয়ার্কিং ডিভাইসের নাম জানা পর্যন্তই। আমাদের যাবতীয় এক্সিলেন্সি হচ্ছে কথায়। কথা দিয়েই পারলে আমরা চান্দের দেশ থেকে ঘুরে আসি। জুনিয়রদের জন্য পরামর্শ হচ্ছে, ভার্সিটির মেজর কোর্সগুলো বুঝে পড়। বইয়ের বাইরেও একটা দুনিয়া আছে রিলেটেড কোর্স বুঝার জন্য। দেখবা একটা না একটা টপিক মনে ধরবেই। সেটা যত কমন আর আনকমনই হোক না কেন, লেগে থাকো। পড়াশোনা কর সেটার উপর নিজে নিজে। এক্সপার্ট হও।

আগামীর বিশ্বটা আছে তোমারই অপেক্ষায়…!!!

58 thoughts on “প্রোগ্রামিং ছাড়াও CSE গ্র্যাজুয়েটদের আছে অনেক চাকুরি

  1. অসাধারন লাগল। খুবই তথ্যবহুল পোস্ট।
    নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে ছাত্র থাকা অবস্থায় কি কি করা উচিত , এরকম কোনও দিকনির্দেশনা যদি পাওয়া যেত তাহলে খুব উপকার হত ……

    1. আমি আসলে এই বিষয়ে তেমন কিছুই জানি না। ভার্সিটির ডেটা কমিউনিকেশন সাবজেক্টটা ভাল মত পড়তে পারেন। সেখান থেকে হয়ত core level concept-টা জানতে পারবেন। এরপর নিজে নিজে নেট ঘেটে জানার চেষ্টা করেন। CCNA কোর্সে কী কী পড়ানো হয় সেগুলো নিয়ে প্রাথমিক ধারণা নিতে পারেন। অনলাইনে প্রচুর ফ্রি কোর্স থাকার কথা নেটোওয়ার্কিং এর উপর। সেগুলো গুগল করে বের করেন। প্র্যাক্টিক্যাল নলেজের জন্য আপনার ISP-তেও একটু ঢুঁ মারতে পারেন। আমার এক ছোট ভাই নেটোওয়ার্কিং এ আগ্রহের কারণে ওর আইএসপি’তে বেশ কিছুদিন ফ্রি সার্ভিস দিয়েছে অনেকটা চাকরির মত করে। সেখান থেকে নেটওয়ার্কিং রিলেটেড অনেক অনেক আইডিয়া পেয়েছে। এরপর সিসিএনএ ভেন্ডর সার্টিফিকেট নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নেটওয়ার্কিং এর একটা কোর্সে ক্লাস নেয়।

  2. অসাধারন লাগলো ভাইয়া । 🙂
    একটা নৌকা চার বছর পথ পাড়ি দেয়ার পর সেই নৌকার গন্তব্য আসলে ঠিক কি কি হতে সেটা জানার আগ্রহ বেশ অনেক দিন থেকেই ছিল । এর আগেও অনেকেরই ব্লগ পড়ার চেস্টা করেছি, এরমধ্যে শাকিল ভাইয়ের ব্লগও (শাকিল ভাই মানে, Shakil_AUST) ছিল । সেই সুবাদে প্রোগ্রামার রিলেটেড জব গুলা সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা থাকলেও পুরোপুরি ( মানে প্রোগ্রামিং + নন প্রোগ্রামিং ) ধারনা এই লেখা থেকেই পেলাম । অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । আশা করি ভবিষ্যতে আরো গুরুত্তপূর্ন লেখা পাব আপনার কাছ থেকে 🙂
    ভাইয়া, এই লেখাটার PDF পাওয়া যাবে কিভাবে ?

  3. Informative one, thank you 🙂
    Bangladesher bivinno bank e.. specialy private bank gulate CSE related job shomporke ekta article pele khub upokar hoto 🙂

  4. What the fuck…..din sese bujlam programmer hoyata foroz hoyei gelo tobe seta obossoi fail kore I mean cgpa retack mere….double lool…..btw ami ekjon cse poruya student,,,,,,, private university…..
    thnx a lot…admin…..
    R ha ami try korbo apnr kothagulo manar jonno tobe seta obossoi cgpa per semester e 3.00 peyei……
    pray for me…….Allah Hafez

    1. আপনার মতামতের বিষয়বস্তু কিছুই বোধগম্য হলো না। বাংলা ভাষা অথবা ইংরেজি ভাষায় লিখলে বুঝতে পারতাম।
      F word ব্যবহার করে ‘cool dude’ সাজতে চাওয়া স্মার্টনেস নয়।
      be polite, humble and gentle man!

  5. vaiya amar programming korte valo lage kintu certificate neyar kono icche nai. graduation complete na kore ki ami kono job pabo? jodi pawar chance thake sekhetre amar ki kora uchit?

    1. প্রথমত পাবেন, কিন্তু এক্সট্রা অর্ডিনারি স্কিল না থাকলে ভাল কোম্পানিতে অ্যাপ্লাই-ই করতে পারবেন না। ছোটখোট বা মাঝারী ধরণের কোম্পানিতে হয়ত জব পাবেন। বেশির ভাগ জব ডেস্ক্রিপশনেই সিএসই/আইটি ব্যাকগ্রাউন্ডের গ্র্যাজুয়েটদের নেয়ার কথা বলা থাকে। আপনি এমন সব জায়গায় যদি সিভিই না পাঠাতে পারেন তাহলে জব পাওয়া কঠিন হবে। কম্যুনিটিতে খুব বেশি কন্ট্রিবিউশন আর দারুণ দারুণ কাজ করে তাক লাগিয়ে দিতে পারলে তখন হয়ত পরিচিতির জোরে কোন কোম্পানিতে জয়েন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে সিএসই গ্র্যাজুয়েট আর আপনার যোগ্যতার পার্থক্যে আপনাকে অনেক অনেক এগিয়ে থাকতে হবে। তা না হলে সিএসই গ্র্যাজুয়েট বাদ দিয়ে আপনাকে জবে নেয়ার সম্ভাবনা কম।

  6. Valo Laglo
    ami emon ekta lekha khujsilam jeta kina amar gontobbe powse dite parbe aj mone hoi setar khub Kasa kasi Ase poresi

    Thanks@shamim

      1. via ami ki nia porbo ata nia kub duscintai asi… Bangladesh ar cakurir bazar bebacona kore… Ami ki cse na ki eee nia porbo… Jodi kindly bolten ami kub. Upokrito hoitam

  7. via ami ki nia porbo ata nia kub duscintai asi… Bangladesh ar cakurir bazar bebacona kore… Ami ki cse na ki eee nia porbo… Jodi kindly bolten ami kub. Upokrito hoitam

    1. EEE এর চাকরি সম্পর্কে আমার তেমন একটা জানা নাই। সিএসই’র জব সেক্টর নিয়ে আমি এই লেখাটা লিখেছি। এবার আপনি ইইই এর কারো থেকে জেনে নিয়ে কম্পেয়ার করতে পারেন।

  8. Without Programming knowledge for a CSE student,what types of books need to read for getting banking IT sector job?

    1. Books on Programming Languages, Data Structures, Algorithms, Relational Database, Object Oriented Programming, Digital Logic Design, Software Engineering. There are lots of books on these topics. You can search them by Google.

      These articles may be help you:
      1. https://hellohasan.com/2016/08/05/গুগলে-চাকরি-google-job-without-degree/
      2. https://hellohasan.com/2016/08/15/8-barriers-to-overcome-when-learning-to-code/
      3. https://hellohasan.com/2016/09/30/ভাল-প্রোগ্রামিং-উপায়/

  9. সি এস ই তে বি এস সি করে বেতন কত হবে ও এম এস সি করে বেতন কত হবে এবং সর্বোচ্চ কত হতে পারে?

  10. ভাইয়া আমি এইবার HSC দিয়েছি। আমার স্বপ্ন আমি cse তে পড়বো।
    কিন্তু আমি যদি পাবলিক ভার্সিটিতে cse সাবজেক্ট না পাই তাহলে কি normal private versity তে পড়বো নাকি national এ পড়বো।
    আমার আবার টপ private versity তে পড়ার সামর্থ নাই।

  11. i am not a student of science, and now i am a student of Hsc,but i want to study with cse, and i am beeing said with sorrow that i am student of Commerce,so now my question is for you whether i can take admite in cse?

    1. Sorry to say, you can’t.
      But you can achieve the quality of CSE graduate by studying yourself and can get a job as a Software Engineer with your expertise.
      Best wishes for your.

  12. computer science এ কৌন ধরনের গণিত পড়ানো হয়। তা যদি বলতেন তাহলে আমি উপকৃত হতাম

    1. অল্প কিছু পার্থক্য ছাড়া সিলেবাস মোটামুটি একই থাকে সব ইউনিভার্সিটিতে। গুগলে সার্চ করলে পুরো CSE এর সিলেবাস পাবেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের।

  13. অনেক সুন্দরভাবে কথাগুলো বুঝানোর জন্য ধন্যবাদ। A lot of thanks for the blog.

  14. ভাইয়া, লিনাক্স ওএস নির্ভর কিছু জবের ব্যাপারে বিস্তারিত যদি জানতে পারতাম খুব উপকার হত!

  15. আসসালামু ‘আলাইকুম,ভাইয়া

    এপের মধ্যে লেখা সেইভ করে রাখার ফিচারটা আনা যাবে কী? তাইলে দরকারি লেখাগুলা সেইভ করে রাখা যেত

    জাযাকাল্লাহ।

    1. আপনি কোন অ্যাপের ভিতর লেখা সেভ করে রাখার কথা বলছেন বুঝতে পারছি না।

  16. ভাইয়া প্রাইভেট ইউনির্ভাসিটি থেকে CSE পড়লে কেমন হবে ? জব সেক্টরের জন্য প্রাইভেট / পাবলিক কোন ম্যাটার করে ? ভালো প্রাইভেট বা খারাপ প্রাইভেট ই্উনির্ভাসিটি ম্যাটার করে ????

    1. এ বিষয়গুলো মুখ্য ভূমিকা রাখে না বলেই জানি। অখ্যাত প্রাইভেট ভার্সিটি বা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক স্টুডেন্টও ভাল প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতার সাথে জব করছে। আবার অনেক নামী ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করেও দেখা যেতে পারে জব হতে কষ্ট হচ্ছে। এটা নির্ভর করে শিক্ষা জীবনে সময়কে কে কতটা কাজে লাগিয়েছে তার উপর। ভাল প্রতিষ্ঠানের প্রভাব অবশ্যই আছে। তবে সেটা মেইন ফোকাসে আসার মত নয় বলেই মনে করি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *