পোস্টটি পড়া হয়েছে 3 বার

কমুনিকেশন – নিজের পরিচয় ও কন্টেক্সট দিয়ে আলাপ শুরু করা

ধরেন WhatsApp এ অপরিচিত নম্বর থেকে একজন নক দিয়ে বললো “আপনার NID আর TIN এর কপিটা কাইন্ডলি স্ক্যান করে পাঠান”। আপনি কী করবেন?

স্বাভাবিক ভাবেই হয়ত বলবেন “কেন পাঠাব? আপনি কে?” – এই টাইপের কিছু…

কিছু মেসেজ চালাচালির পর বুঝতে পারলেন আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত, সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি অফিসিয়াল কাজের জন্য ডকুমেন্টসগুলো চেয়েছেন। আপনি এরপর ডকুমেন্টস শেয়ার করলেন।

এই ছোট্ট ঘটনার মাঝে কি কোনো ইস্যু দেখতে পাচ্ছেন?

ঐ দায়িত্বশীলের কি উচিত ছিল না তার পরিচয়টা আগে জানিয়ে, পর্যাপ্ত কন্টেক্সট দিয়ে এরপর ডকুমেন্টগুলো চাওয়া? কমুনিকেশনের ক্ষেত্রে এরকম ব্যাসিক বিষয়ও অনেকে মিস করে যান, যা ব্যক্তির প্রফেশনালিজমকে প্রশ্নের মুখে ফেলে।

হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন কোনো রাষ্ট্রপ্রধানদের নিকট পত্র পাঠাতেন, তখন তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে শুরু করতেন। পত্রের শুরুতে থাকত বিসমিল্লাহ। এরপর তিনি নিজের পরিচয় দিতেন আল্লাহর প্রেরিত রাসূল হিসাবে। এরপর পত্রের বক্তব্য পেশ করতেন।

এই হাদীসটা জানার পর থেকে চেষ্টা করি পারসোনাল বা প্রফেশনাল লাইফে অপরিচিত কারোর সাথে আলোচনা শুরুর আগে নিজের পরিচয় দেয়ার। পাশাপাশি আমি যে বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি সেটার খুব সংক্ষেপ একটা সামারি দিতে। যেন অডিয়েন্স একেবারে ব্ল্যাংক অবস্থা থেকে আলাপ শুরু না করেন। সেটা মেইল, ফোন কল, অনলাইন মিটিং বা প্রেজেন্টেশন। যেই ফরমেটেই হোক না কেন।

বিষয়টা আপনি কিভাবে দেখেন? আপনার প্র্যাক্টিস ও মতামত শেয়ার করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *