পোস্টটি পড়া হয়েছে 24,572 বার
নখ কাটার সুন্নত পদ্ধতি - প্রচলিত ভুল ধারনা

নখ কাটার সুন্নত নিয়ম সংক্রান্ত প্রচলিত কিছু ভুল ধারনা

Post updated on 16th September, 2021 at 10:26 pm

ইসলামে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অপরিসীম। চুল, গোফ ও শরীরের অন্যান্য অবাঞ্ছিত লোমের বিষয়ে পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি থাকা প্রত্যেক মুমিনের জন্য জরুরি। একই ভাবে নিয়মিত নখ কেটে পরিষ্কার রাখাও নবীজি (সা) এর গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাহ।

আমাদের সমাজে নখ কাটার সুন্নত নিয়ম হিসাবে কিছু নিয়ম ও নির্দিষ্ট দিন-তারিখ প্রচলিত রয়েছে। যা প্রসিদ্ধ ও হক্কানী আলেম-ওলামাদের মতে বিশুদ্ধ নয়। আজকের এই পোস্টে ইনশাআল্লাহ আমরা জানতে পারব, নখ কাটা বিষয়ক সুন্নত বলে প্রচলিত বিষয়গুলোর গ্রহনযোগ্যতা ও আমাদের করণীয় সম্পর্কে।

নখ কাটার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা

নখ কেটে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা একটি ফিতরাত বা স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। এরকম স্বভাবজাত প্রকৃতির মধ্যে আর কী কী রয়েছে সে বিষয়ে নিম্নে একটি হাদীস তুলে ধরা হলোঃ

আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ

ফিতরাত পাঁচটি অথবা পাঁচটি জিনিস স্বভাবজাতঃ খতনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখসমূহ কাটা, বগলের পশম তুলে ফেলা এবং মোচ কাটা। (ইবনে মাজাহ – ২৯২)

প্রত্যেকটি রুচিশীল মানুষই নিয়মিত নখ কেটে পরিচ্ছন্ন থাকেন। আমরা প্রতিদিন অন্তত পাঁচ বার সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহর সামনে দাঁড়াই। মুনাজাতে আল্লাহর কাছে হাত তুলি। সেই হাতের নখগুলো যদি হয় নোংরা ও অপরিষ্কার তাহলে বিষয়টি মোটেও সুন্দর হলো না। আল্লাহর সামনে সালাতে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আদব হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পারিপাটি হয়ে উত্তম পোশাক পরে সালাত আদায় করা।

আবু ওয়াসিল বলেন, আমি আবু আইয়ূব রা.-এর সাথে সাক্ষাত করতে গেলাম। মোসাফাহার সময় তিনি আমার নখ বড় দেখে বললেন, 

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ কেউ আসমানের খবর জিজ্ঞাসা কর। অথচ তার হাতের নখগুলো পাখির নখের মতো, যাতে জমে থাকে ময়লা-আবর্জনা! (মুসনাদে আহমদ; আলমুজামুল কাবীর, তবারানী)[1]

তাই একজন মু’মিন ব্যক্তির করণীয় হচ্ছে নিয়মিত নখ কেটে পরিচ্ছন্ন থাকা।

নখ কাটার নিয়ম বা নখ কাটার সুন্নত তরিকা বলে প্রচলিত ধারনা

ছোট বেলা থেকে আমরা জেনে এসেছি নখ কাটা বিষয়ক কিছু নিয়ম বা সুন্নত তরিকা সম্পর্কে। উক্ত বিষয়টিকে মোটা দাগে আমরা দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। তা হচ্ছেঃ

  1. হাত ও পায়ের নখ কাটার ক্রম (কোন আঙ্গুলের পর কোন আঙ্গুলের নখ কাটতে হবে?)
  2. নখ কাটার দিন (কোন দিন নখ কাটতে হবে আর কোন দিন কাটা যাবে না?)

নিচে উপরের দুটি প্রচলিত ধারনার উল্লেখ করা হলো।

হাত ও পায়ের নখ কাটার ক্রম (কোন আঙ্গুলের পর কোন আঙ্গুলের নখ কাটতে হবে?)

নখ কাটার তারতীব ও নিয়ম বর্ণনা করতে গিয়ে নিচের বক্তব্যটিকে হাদীস হিসাবে প্রচার করা হয়। অথচ এটি নবীজি (সা) এর হাদীস নয়।

রাসূল (সা) ডান হাতের তর্জনী হতে নখ কাটা আরম্ভ করে বৃদ্ধাঙ্গুলে শেষ করতেন। বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুল হতে আরম্ভ করে বৃদ্ধাঙ্গুলে শেষ করতেন।

হাদীস হিসাবে প্রচার করা হলেও উপরের বক্তব্যটি হাদীস নয়। নখ কাটার নির্দিষ্ট নিয়ম ও দিনের ব্যাপারে রাসূল (সা) থেকে কোনো কিছু বর্ণিত নেই।[2]

নখ কাটার সুন্নত পদ্ধতি - প্রচলিত ভুল
নখ কাটার সুন্নত পদ্ধতি হিসাবে প্রচলিত ভুল

হাতের নখ কাটার ধারাবাহিকতার প্রচলিত ধারণাঃ

হাতের নখ কাটতে হবে ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুল (তর্জনি) থেকে শুরু করে পর্যায় ডান হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল পর্যন্ত। এরপর বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে পর্যায়ক্রমে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি পর্যন্ত। সবশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি

পায়ের নখ কাটার ধারাবাহিকতার প্রচলিত ধারণাঃ

পায়ের নখ কাটার ধারাবাহিকতার ক্ষেত্রে প্রচলিত নিয়ম হচ্ছেঃ ডান পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে ডান পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি পর্যন্ত। এরপর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি থেকে শুরু করে বাম পায়ের কনিষ্ঠ আঙ্গুল পর্যন্ত।

হাত ও পায়ের নখ কাটার ক্ষেত্রে উপরে উল্লেখিত ধারাবাহিকতার যেই ক্রম বা নখ কাটার তারতীব বর্ণনা করা হয়েছে, তা সুন্নাহ সম্মত নয়। আমাদের সমাজে উক্ত ধারাবাহিকতায় নখ কাটাকে সুন্নত তরিকায় নখ কাটা হিসাবে প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু এই ধারাবাহিকতার বিষয়টি কোনো বিশুদ্ধ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। নবীজি (সা) অথবা তাঁর কোনো সাহাবি (রা) উক্ত নিয়মে নখ কেটেছেন বলে বিশুদ্ধ সূত্রে কোনো বর্ণনা পাওয়া যায় না।

নখ কাটার সুন্নত দিন (কোন দিন নখ কাটতে হবে আর কোন দিন কাটা যাবে না?)

সমাজে প্রচলিত হচ্ছে শুক্রবার নখ কাটা সুন্নত। অনেকে বলে থাকেন বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার উভয় দিনের যে কোনো একদিন নখ কাটা সুন্নত। পাশাপাশি অনেকে বলে থাকেন শনিবার নখ কাটা নিষেধ। এলাকা ভেদে এরকম নানা কথা লোকমুখে প্রচলিত রয়েছে। সঠিক কথা হলোঃ নখ বড় হওয়া মাত্রই কাটা সুন্নত। নবীজি (সা) বা সাহাবীগণের থেকে নখ কাটার সুন্নাহ সম্পর্কিত কোনো দিনের উল্লেখ পাওয়া যায় না। আবার এমন কোনো কথাও পাওয়া যায় না যে, শনিবার নখ কাটা নিষেধ।

নখ কাটার নিয়ম সংশ্লিষ্ট প্রচলিত ভুলের বিষয়ে ইমাম ও মুহাদ্দীসগণের বক্তব্য

হযরত ইবনে হাজার আসকালানী (রহ) বলেনঃ “নখ কাটার নিয়ম সম্পর্কে কোনো হাদীস প্রমাণিত নেই।”[3]

আল্লামা সাখাবী (রহ) বলেনঃ “নখ কাটার ব্যাপারে নির্দিষ্ট দিন ও নিয়ম সম্বলিত কোনো হাদীস রাসূল (সা) থেকে সাবেত নাই। এক্ষেত্রে হযরত আলী (রা) এর নামে যে পংক্তিটি উল্লেখ করা হয়, তা সম্পূর্ণ বাতিল”।[4]

হাফেয ইরাকী (রহ) বলেনঃ “নখ কাটা সম্পর্কে রাসূল (সা) থেকে কোনো হাদীস সাবেত নেই”।[5]

জনৈক বুজুর্গ ব্যক্তি বৃহস্পতিবার নখ কাটছিলেন। তা দেখে এক লোক বলছিলেন যে, আগামীকাল তো জুমআর দিন। কালই নখ কাটতে পারতেন। তখন তিনি বলেছিলেন যে, নেক কাজে দেরি করা উচিত নয়।[6]

রাতে নখ কাটলে কী হয়? রাতে নখ কাটা কি জায়েজ? রাতে নখ কাটা কি নিষেধ?

আমাদের সমাজে অনেককে বলতে শোনা যায় রাতের বেলা নখ কাটা নিষেধ। এটা কোথাও কোথাও আঞ্চলিক সংস্কার আবার কোথাও কোথাও এটাকে ইসলামের মোড়কে উপস্থাপন করা হয়।

রাতের বেলা নখ কাটা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষেধ নয়। রাতে নখ কাটলে কোনো পাপ হয় না। রাতে নখ কাটা ইসলামী শরীয়তের দৃষ্টিতে নিষিদ্ধ বা মাকরুহ নয়। তাই কেউ রাতে নখ কাটলে একে ইসলাম বিরুদ্ধ কাজ বা অন্যায় কাজ হিসাবে গণ্য করা যাবে না। রাতের বেলা নখ কাটার ব্যাপারে ইসলামী শরীয়তে কোনো নিষেধাজ্ঞা নাই। অনেকে রাতে নখ কাটলে অমঙ্গল হয় বলে ধারনা করে থাকেন। এটি একটি কুসংস্কার। ইসলামী শরীয়তে অমঙ্গল-অশুভ-অপয়া এসব কোনো কনসেপ্টের অস্তিত্ব নাই।

এক সময় যখন মানুষের বাসা বাড়িতে বিদ্যুত ছিল না। তখন কুপি বাতি, মোমবাতির আলোতে নখ কাটলে নখ বেশি কাটা হয়ে যাওয়ার আশংকা ছিল। অল্প আলোতে এরকম কাজ করার ক্ষেত্রে চোখের উপর বাড়তি প্রেশার পড়ত। এ কারণে কেউ কেউ বলে থাকতে পারেন যে রাতের বেলা নখ কাটা ঠিক না। কিন্তু এখন যখন বেশির ভাগ অঞ্চলেই বিদ্যুত রয়েছে এবং পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। তাই উক্ত যুক্তিটি এখন প্রযোজ্য হয় না। আর কম আলোতে নখ না কাটার বিষয়টি ইসলামের কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়। বরং এটা অবস্থার প্রেক্ষিতে নেয়া জাগতিক একটি সিদ্ধান্ত। তাই এই জাগতিক একটি বিষয়ে ইসলামের নিষেধ হিসাবে আমল করা যাবে না।

হিন্দু ধর্মের একটি বিশ্বাস হচ্ছেঃ সন্ধ্যার সময় তাদের দেবতা লক্ষ্মী মানুষের ঘরে ঘরে যায়। তাই এ সময়ে ঘর ঝাড়ু দিলে বা নখ কাটলে এসব নোংরাগুলো লক্ষ্মীর গায়ে লাগতে পারে। ফলে সে ঐ ব্যক্তির উপর রুষ্ট হতে পারে। এতে তার অকল্যান বা অমঙ্গল হয়। এই ধারনার থেকে রাতের বেলা নখ না কাটা, রাতের বেলায় ঘর ঝাড়ু না দেয়া বা রাতের বেলা এটো বাসন ধুয়ে বাইরে পানি না ফেলার বিশ্বাস জন্ম হয়ে থাকতে পারে। মুসলিম সমাজে বা ইসলামী শরীয়তে এসকল কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো বাধা বা নিষেধ নাই।[7]

নখ কাটার আমলের ব্যাপারে আমাদের করণীয়

উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে বুঝা গেল যে নখ কাটার নির্দিষ্ট নিয়ম ও নির্দিষ্ট দিন বিষয়ে লোকমুখে যা প্রচলিত সেগুলোর কোনোটিই হাদীস নয়। এগুলোর সবই ভিত্তিহীন কথা। অতএব নখ কাটার কোনো মাসনুন তরীকা থাকলে তা শুধু এই যে, এ কাজটি ডানদিক থেকে শুরু করবে।[8] অভ্যাসবশত বা নিয়মিত বিরতিতে নখ কাটার ক্ষেত্রে সহায়ক হিসাবে, যদি আমরা সপ্তাহের একটি দিনকে ঠিক করে নিই তাহলে সমস্যা নাই। কিন্তু কোনো একটি দিনকে (যেমনঃ শুক্রবার) নখ কাটার সুন্নত দিন হিসাবে মনে করব না।

সমাজে শুক্রবার নখ কাটাকে সুন্নত মনে করা হয়। যখন বিষয়টি সম্পর্কে আমি জানলাম, এরপর শুধু এই কারণে ব্যক্তিগত ভাবে আমি শুক্রবার নখ কাটি না। না জানার কারণে শুক্রবার নখ কাটাকে সুন্নত মনে করে অন্তত ২০ বছর এর উপর আমল করেছি। কিন্তু যখন জানলাম এটি আসলে সুন্নত হিসাবে প্রমাণিত নয়, তখন এই দিনে না কেটে আমি শনিবার নখ কাটি। শুক্রবারেও আমার অফিস থাকায় সাধারনত শনিবার বা রবিবার ছুটির দিনে আমি নখ কাটার চেষ্টা করি। কোনো কারণে মিস হলে সপ্তাহের অন্যান্য যে কোনো দিনই নখ কাটি। আগে নখ কাটার ক্ষেত্রে আঙ্গুলের যে ক্রম অনুসরণ করতাম, সেটা ইচ্ছা করেই আর অনুসরণ করি না। ডান দিক থেকে কাটার জন্য ডান হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুল থেকে কাটা শুরু করে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল পর্যন্ত কাটি। এরপর বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল থেকে শুরু করে বাম হাতের কনিষ্ঠাঙ্গুল পর্যন্ত কাটি। পায়ের ক্ষেত্রেও ডান থেকে বামে একই ভাবে কাটি।

আগামীতে অফিসের ছুটি শুক্রবার আসলে হয়ত তখন শুক্রবার নখ কাটব। কিন্তু এই দিনে নখ কাটাকে সুন্নত বা ফজিলতের মনে করব না। নখ কাটার কাজটি সুন্নত, এটিকেই সুন্নত মনে করব। কোন দিন নখ কাটা সুন্নত এই বিষয়ে চিন্তাও করব না এবং কোনো নির্দিষ্ট দিনকে সুন্নত হিসাবে চিহ্নিতও করব না।

নবীজি (সা) নখ কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। কোনো বিশেষ নিয়ম বা দিবসকে নির্দিষ্ট করে নখ কাটার শিক্ষা তিনি দেন নি। তাই যে কোনো দিন, যে কোনো নিয়মে (ক্রমে) নখ কাটলেই নবীজির (সা) নির্দেশ পালিত হবে। কোন বিশেষ দিনে বা কোন বিশেষ পদ্ধতিতে নখ কাটার কোন ফযীলত কল্পনা করার অর্থ হতে পারে রাসূল (সা)-এর শিক্ষাকে অপূর্ণ মনে করা এবং তাঁর শিক্ষাকে পূর্ণতা দানের দুঃসাহস দেখানো (নাউযুবিল্লাহ)।[9]

আল্লাহ আমাদেরকে সহীহ সুন্নাতের মধ্যে জীবন যাপনের তাওফীক প্রদান করেন। সকল প্রকার মনগড়া, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথাকে ইসলামী শরীয়তের অংশ বা সুন্নত মনে করা থেকে বিরত রাখুন। আমীন।

তথ্যসূত্র

  1. মাসিক আলকাউসার – ডিসেম্বর ২০১০
  2. প্রচলিত জাল হাদীস, মাওলানা আব্দুল মালেক (পৃষ্ঠা ১৪৮)
  3. ফাতহুল বারীঃ ১০/৩৫৭ – ইবনে হাজার আসকালানী
  4. আল-মাকাসিদুল হাসানাঃ ৩৬২ – আল্লামা সাখাবী (রহ)
  5. তারহুত তাসবীর শরহুত তাকরীব – ইতহাফুস সাদাতিল মুত্তাকীনঃ ২/৪১১ – হাফেয ইরাকী (রহ)
  6. মাসিক আলকাউসার – ডিসেম্বর ২০১০
  7. রাতের বেলা নখ কাটা কি নিষেধ? – শায়খ আহমাদুল্লাহ
  8. মাসিক আলকাউসার – এপ্রিল ২০০৯
  9. হাদীসের নামে জালিয়াতি – ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

13 thoughts on “নখ কাটার সুন্নত নিয়ম সংক্রান্ত প্রচলিত কিছু ভুল ধারনা

  1. জাযাকাল্লাহু খইরন।
    অনেক উপকৃত হলাম।

  2. আমার আম্মা আমাকে নক কাটার ব্যাপারে শিখিয়েছিলেন যেটা ছিলো ভুল পদ্ধতি যেটাকে উনি সুন্নাহ মনে করতেন৷ আপনার মাধ্যমে জানলাম প্রিয় ভাই জাজাক আল্লাহু খাইরান৷
    আল্লাহ আপনাকে নেক ইলম দান করুন (আমিন)

    1. আমীন।
      আমিও আম্মুর কাছ থেকে এই নিয়মটি শিখেছিলাম। প্রায় ২০-২৫ বছর এটার উপর আমি আমল করেছি। এরপর যখন জানতে পেরেছি এটি সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি নয়, তখন এই পদ্ধতি ছেড়ে দিয়েছি।
      ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। জাযাকাল্লাহু খাইর।

    1. কপি করার অপশন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অনুগ্রহ করে ব্লগপোস্টের লিংক শেয়ার করুন।

  3. উপরোক্ত নখ কাটার বিষয়ে যা আলোচনা করা হয়েছে, তা থেকে উপকৃ হওয়ায়, শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি, আল্লাহপাক
    আপনাদের ইলমে নাফে দান করুন, ও ইলমের মধ্যে বরকত দান করুন, আমিন

  4. আরেকটা বিষয় আছে নখ নাকি গোসলের আগে কাটতে হয়। 🤣🤣সেটার বিষয়ে বললেন না!?? । কি পরিমান ভুলে আছে এদেশের মুসলমান। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝার তাওফিক দান করুন আমিন।

  5. জাজাকাল্লাহ খাইরান, অনেক উপকৃত হলাম। আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখিরাতে উত্তম জাজাকা দান করুক, আমিন।

  6. জাজাকাল্লাহ।
    কতটুকু প‌রিমান নখ রাখা যা‌বে/রাখ‌তে হ‌বে, এ ব্যাপা‌রে জান‌তে চাই।

  7. আমি এতদিন ধরে এই ভূল ধারণাগুলি মনের মধ্যে পোষন করে রেখেছিলাম, আজ আল্লাহ্ পাক আমাকে একটি বিদআত থেকে মুক্ত করলেন। যাজাকাল্লাহ্ খাইরান …

  8. জাজাকাল্লাহ খাইরান, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতে আপনাদের এপের মাধ্যমে আমি কিছু শিখলাম এবং জানলাম। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আমাকে উক্ত বিষয় গুলো ভালোভাবে আমল করার তাওফিক দান করুন আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *