Post updated on 26th June, 2021 at 10:20 am
যে কাজগুলোর জন্য রোজা ভাঙ্গে না
-
ভুলে পানাহার করা
-
অনিচ্ছাকৃত বমি
-
স্বপ্নদোষ হওয়া (Wet dream)
-
স্ত্রীকে চুমু দেয়া
-
হিজামা (cupping) বা রক্তদান
-
ভ্যাক্সিন, টিকা, ইনসুলিন, ইঞ্জেকশন (যেগুলো খাবারের বিকল্প নয়)
ভুলে পানাহার করলে রোজা ভাঙ্গে না
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“সওম পালনকারী ভুলক্রমে যদি আহার করে বা পান করে ফেলে, তাহলে সে যেন তার সওম পুরা করে নেয়। কেননা আল্লাহ্ই তাকে পানাহার করিয়েছেন।”
- সারা বছরের সাহরি ইফতার ও সালাতের সময়সূচী সহ বিশুদ্ধ ইসলামী জ্ঞানের জন্য ইন্সটল করুন Muslims Day অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। ডাউনলোড করুন এখান থেকে
অনিচ্ছাকৃত বমি করলে রোজা ভাঙ্গে না
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“কোন সওম পালনকারীর অনিচ্ছাকৃত বমি হলে তাকে তা ক্বাযা করতে হবে না। তবে কেউ সেচ্ছায় বমি করলে তাকে অবশ্যই সওম ক্বাযা করতে হবে।”
স্বপ্নদোষ (WET DREAM) হলে রোজা ভাঙ্গে না
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
“তিনটি জিনিস রোযা ভঙ্গ করে নাঃ রক্তমোক্ষণ, বমি ও স্বপ্নদোষ।”
(তিরমিজি ৭১৯, হাদীসের মানঃ যইফ বা দুর্বল। কিন্তু স্বপ্নদোষের কারণে যে সিয়ামভঙ্গ হবে না সে ব্যাপারে সকল আলেমগণই একমত)
স্ত্রীকে চুমু দিলে রোজা ভাঙ্গে না
‘আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ
“নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সওমের অবস্থায় চুমু খেতেন এবং গায়ে গা লাগাতেন। তবে তিনি তাঁর প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণে তোমাদের চেয়ে অধিক সক্ষম ছিলেন।”
তবে এটি তার জন্য বৈধ হবে যিনি তার আবেগ ও উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ও সক্ষম। অন্যথায় আলেমগণের পরামর্শ হচ্ছে এটা থেকে বিরত থাকা।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ“এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নিকট সওম অবস্থায় স্ত্রীর সাথে অবস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে অনুমতি প্রদান করেন। অতঃপর অন্য এক ব্যক্তি এসে অনুরূপ জিজ্ঞেস করলে তিনি তাকে নিষেধ করে দিলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি যাকে অনুমতি দিয়েছেন সে ছিল বৃ্দ্ধ এবং যাকে নিষেধ করেছেন সে ছিল যুবক।”
হিজামা (CUPPING) এবং রক্তদান করলে রোজা ভাঙ্গে না
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন,নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সিয়ামরত অবস্থায় শিঙ্গা লাগিয়েছেন
সাবিত আল-বুনানী (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেন,আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ)-কে প্রশ্ন করা হল, আপনারা কি সায়িমের শিঙ্গা লাগানো (রক্তমোক্ষম) অপছন্দ করতেন? তিনি বললেন, না। তবে দুর্বল হয়ে যাওয়ার কারণে অপছন্দ করতাম।
ভ্যাক্সিন, টিকা, ইঞ্জেকশন (যেগুলো খাবারের বিকল্প নয়), ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গে না
সিয়ামরত অবস্থায় ভ্যাক্সিন, টিকা বা এমন কোনো ইঞ্জেকশন নেয়া বৈধ যেগুলোর দ্বারা খাদ্য বা পানির চাহিদা পূরণ হয় না। অর্থাৎ যেই ইঞ্জেকশন খাদ্য বা পানীয় এর বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করা হয় না, সেগুলো সিয়ামের কোনো ক্ষতি করবে না। এছাড়াও ইনসুলিন নিলেও সিয়ামের কোনো ক্ষতি হয় না।
অসুস্থ্য ব্যক্তির জন্য গ্লুকোজ বা স্যালাইন নিলে সিয়ামের ক্ষতি হবে না। তবে সুস্থ্য ব্যক্তির জন্য তা মাকরুহে তাহরিমি-নাজায়েজ।
জাজাাকাল্লাহ্ খাইরান।
ইসলামী জীবন ব্যবস্হায় সুন্দর মতামতের জন্য, এসব পোষ্ট জীবনে চলার পথে খুবই উপকারী। ভাই, দয়া করে মুসলিম এ্যাপে উইজেড এর ব্যবস্হা করেন।
অ্যাপ টিকে খুব সুন্দর লেগেছে৷ আমার কাছে
আল হামদুলিল্লাহি তাআলা।খুব পছন্দের একটি এপ।আমি নিয়মিত এটা ফলো করি।অফলাইন কোরান তাফসির সহ চালু করলে আরও ভালো হত।
Alhamdulillah khub balo akti apps ayta sokoley flw koren ay apps