পোস্টটি পড়া হয়েছে 16,027 বার
মানসাঙ্ক বই রিভিউ - ধর্ষণের কারণ ও প্রতিকার

মানসাঙ্ক – [বই রিভিউ – ৫]

Post updated on 23rd September, 2022 at 07:19 am

ক্ষুধা, তৃষ্ণা, ঘুম, মল-মূত্র ত্যাগের মত একটা বয়সে যৌনতাও আমাদের জীবনের অপরিহার্য ও অনিবার্য চাহিদা। মুখে আমরা স্বীকার করি বা না-ই করি, সুস্থ্য স্বাভাবিক মানুষ মাত্রই পরিণত বয়সে তার যৌন চাহিদা মেটানোর প্রয়োজন পড়ে।  ক্ষুধা লাগলে মানুষ প্রয়োজনে গাছের পাতা খেয়ে, মাটির বিস্কুট খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে। শরীরে যখন ঘুমের প্রয়োজন হয় মানুষ বাসের রড ধরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থাতে বা সিটে বসে প্রচন্ড গরমের মধ্যেও দিব্যি ঘুমিয়ে নেয়। শরীরে এইসব চাহিদা তৈরি হলে মানুষকে তা মিটাতেই হবে। হোক তা বৈধ-স্বাভাবিক উপায়ে, তা সম্ভব না হলে অলটারনেটিভ কোনো রাস্তায় মানুষ তা মেটাবেই। এই যৌন চাহিদা মেটানোর বিকৃত ও ঘৃণিত একটা পন্থা হচ্ছে ধর্ষণ। সমাজে মহামারি আকারে ধর্ষণ কেন বেড়ে গেল? কার দোষ এখানে? পুরুষের মানসিকতার নাকি নারীর পোশাকের? ধর্ষণ সংঘটিত হবার জন্য কী কী ফ্যাক্টর জড়িত? এর প্রতিকারে আমরা যেই পশ্চিমা বিশ্বের মানসিক দাসত্বের শৃংখলে আবদ্ধ, সেই পশ্চিমা বিশ্ব কী দাওয়াই দেয়? তার প্রভাব কী? আদৌ তা বাস্তবসম্মত ও প্রায়োগিক কিনা? আর এ সমস্যা সমাধানে ইসলাম কী ব্যবস্থাপত্র দেয়? সেগুলোর কার্যকারিতা কী রকম? এরকম অসংখ্য প্রশ্ন আর তার জবাব নিয়ে লেখা হয়েছে তথ্যবহুল বই মানসাঙ্ক! প্রাপ্ত বয়ষ্ক নারী-পুরুষ সকলেরই এই বইটি পড়া উচিত। এতে উভয়ই চিন্তা করার জন্য যথেষ্ট উপাদান পাবে। পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে না পারলেও, নিজেকে অন্তত পরিবর্তন করতে পারবে।

বইটি লিখেছেন ডাক্তার শামসুল আরেফীন। পেশাগত জীবনে যিনি একজন চিকিৎসক তাই মানুষের যৌন চিন্তা, সাইকোলজি ইত্যাদি বিষয়ক কথাগুলোর উপর আমরা ভরসা করতে পারি। কারণ তিনি কলা বিভাগের জ্ঞান দিয়ে বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করছেন না। বরং অসংখ্য রিসার্চ পেপার আর জার্নালের রেফারেন্স সহ এমন সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন যেগুলোর উপর অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা করে তাকে ডাক্তারী পাশ করতে হয়েছে। আগ্রহী পাঠক এই বই থেকে এমন আরো অনেক কন্টেন্টের সূত্র পাবেন যার উপর অধ্যয়নের জন্য হয়ত বছর খানেক বা আরো বেশি সময় প্রয়োজন। লেখকের প্রথম বই ছিল ডাবল স্ট্যান্ডার্ড। দ্বিতীয় বই কষ্টিপাথর। আর আজকের আলোচ্য বইটি তৃতীয়।

মানসাঙ্ক বইটিকে আমরা মোটা দাগে তিন ভাগে ভাগ করতে পারি। প্রথম ভাগে আমরা পাই একটা ধর্ষণের জন্য কী কী ফ্যাক্টর জড়িত তার বিস্তারিত বর্ণনা। দ্বিতীয় ভাগে আমরা পাই ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহ কমানোর জন্য পশ্চিমা বিশ্বের পদক্ষেপ। এই তাদের পদক্ষেপগুলোর পরে সেখানকার অবস্থার কী ধরণের উন্নতি হয়েছে তার লোমহর্ষক বর্ণনা। তৃতীয় ভাগে লেখক আলোচনা করেছেন ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের প্রতিকারে ইসলামের দেয়া সমাধান

ধর্ষণের জন্য কী কী ফ্যাক্টর জড়িত

লেখক দেখিয়েছেন একটা ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন বা sexual harassment এর জন্য তিনটি ফ্যাক্টর জড়িত। সেগুলো হচ্ছে (১) মেন্টাল সেট আপ, (২) নির্জনতা, (৩) উদ্দীপক। ধর্ষক বা নির্যাতনকারী যদি এই তিনটি ফ্যাক্টর একত্রে পেয়ে যায় তাহলে ধর্ষণ ঘটবেই!

প্রতিটা মানুষের মেন্টাল সেট আপ ইউনিক। তার যৌন বিষয়ক চিন্তা একান্তই তার মত। অন্য কারো সাথে তার যৌনতা বিষয়ক মানসিকতা শতভাগ মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা নাই বললেই চলে। কোনো পুরুষ হয়ত উত্তেজিত হয় নারীর পা দেখে। নারীর পা নিয়ে তার সকল ফ্যান্টাসি। এইরকম যৌন বিকৃতির মানুষের অর্গাজমের জন্য পেনিট্রেশন গৌণ বিষয়। মুখ্য হয়ে দাঁড়ায় তার সঙ্গীনীর পা! এরকম অনেকগুলো বিষয় উঠে এসেছে বিকৃত মানসিকতার পুরুষের যৌনতার কেন্দ্রস্থল নিয়ে। যেমনঃ নারীর চোখ, নাক, হাত দেখে উত্তেজনা, বিপরীত লিঙ্গের পোশাক দেখে উত্তেজনা, অপরিচিত কাউকে ছুঁয়ে উত্তেজনা, বিকলাঙ্গ বা কাটা অঙ্গ বিশিষ্ট মানুষের প্রতি কাম, বয়ষ্ক মহিলাদের প্রতি কাম, ধর্ষণের পর নরমাংস খাওয়ার মধ্যে কাম, শিশুদের প্রতি কাম, নিজের শরীর কেটে রক্ত বের করে কাম উত্তেজনা, রক্ত বা পায়খানা দেখে বা খেয়ে উত্তেজিত হওয়া, পশুর প্রতি কাম উত্তেজনা ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি।

পরবর্তী ফ্যাক্টর নির্জনতা। ধর্ষণের জন্য সাধারণত ধর্ষকেরা নির্জন জায়গায়ই বেছে নেয়। সেটা হতে পারে প্ল্যান করে ভিক্টিমকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যাওয়া। অথবা আকস্মিক নির্জন জায়গায় ভিক্টিমকে পেয়ে যাওয়া। ১৯৮৭ সালে ৩১৮৭ জন কলেজপড়ুয়া মেয়েদের উপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে তাদের ১৫% ই ধর্ষিত হয়েছে। ধর্ষিতাদের ৫৬% ই হয়েছে ডেটিংয়ে গিয়ে! অর্থাৎ তাদের প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ডের সাথে নির্জনে সাক্ষাতের সময়! National Crime Report Bureau, India এর রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৬ সালে ভারতে ৩৮৯৪৭ টি ধর্ষণের ঘটনা রেকর্ড করা হয় (প্রকৃত ধর্ষণ আরো অনেক, এখানে শুধু যেগুলোর ব্যাপারে অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো)। এই প্রায় ৩৯ হাজার ধর্ষণের ৯৪.৬৪% ই হয়েছে পরিচিত পুরুষ দ্বারা! যেই বোনেরা বয়ফ্রেন্ড, জাস্ট ফ্রেন্ড বা ফ্রি মিক্সিংয়ের মাঝে আছেন এই ফিগারটা মাথায় গেঁথে রাখতে পারেন। ভারত আর বাংলাদেশের সংস্কৃতির মধ্যে রয়েছে প্রচুর মিল! আমাদের মন মানসিকতা বলিউডের দ্বারাও কম প্রভাবিত হয় না।

ধর্ষণের শেষ ফ্যাক্টরটি উদ্দীপক। উদ্দীপক আর উত্তেজককে লেখক আলাদা ভাবে দেখিয়েছেন। ৫ বছরের একটি মেয়ে একজন ধর্ষকের কাছে উত্তেজক নাও হতে পারে। কিন্তু হতে পারে উদ্দীপক। যার কারণে তার ঘৃণ্য লালসা মেটাতে সে ঝাপিয়ে পড়ে। বইয়ের অনেকটা অংশ জুড়ে রয়েছে এই উদ্দীপকের বর্ণনা। একজন ধর্ষককে কী কী বিষয় উদ্দীপ্ত করে বা কী কী বিষয় তাকে ধর্ষণ বা ইভ টিজিংয়ের দিকে ধাবিত করে তার বর্ণনা এখানে পাওয়া যাবে। ধর্ষকদের ২৫% ই দেখা যায় রেপ মিথ (Rape Myth) এ বিশ্বাসী। অর্থাৎ নারীদের প্রতি যৌন বিষয়ক ভুল ধারণা তাদের মাথায় গেঁথে বসে আছে। যেমন কেউ মনে করে “মেয়েটি এরকম পিঠ খোলা জামা পরে সবাইকে দেখাচ্ছে তাহলে নিশ্চয় সে চায় তার পিঠে ছেলেরা হাত দিক!”, কেউ বা আমার সিনেমা বা পর্ণ দেখে বিশ্বাস করে নিয়েছে “মেয়েদের না মানেই হ্যাঁ! প্রথমে তারা না করবে আসলে মনে মনে ঠিকই সেক্স করতে চায়!”, মুভি দেখে কারো মধ্যে ধারণা জন্মে গেছে মেয়েদের পিছনে লেগে থাকলে একসময় সে দুর্বল হবেই বা প্রথমে জোর করে ধর্ষণ করলেও মেয়েটি পরে আমার প্রতি দুর্বল হয়ে যাবে! এরকম অসংখ্য রেপ মিথ একজন ধর্ষককে আস্তে আস্তে ধর্ষণের দিকে নিয়ে যায়। এই উদ্দীপকের আরেকটা গুরুতবপূর্ণ তথ্য হচ্ছে মানুষ একবারেই উদ্দীপ্ত হয় না। দিনের পর দিন বিভিন্ন সোর্স থেকে একটু একটু করে উদ্দীপ্ত হবার ডোজ নিয়ে সে উদ্দীপ্ত হতে পারে। যেমন কোনো পুরুষ চোখের পর্দা না মেনে দিনের পর দিন উগ্র পোশাকে তার নারী সহকর্মীকে দেখে আসতে থাকলে মনের গোপন অন্ধকার কুঠরীতে তাকে নিয়ে ফ্যান্টাসি আসবেই! সে হয়ত তার সহকর্মীর প্রতি হাত বাড়াবে না, কিন্তু একটা সময় গিয়ে হয়ত এই ফ্যান্টাসির বলি হবে কোনো রাতে নির্জন রাস্তা দিয়ে যাওয়া কোনো বোরকা পরা নারী, বয়ষ্ক মহিলা বা মানসিক ভারসাম্যহীন-পাগল কোনো নারী। ভিক্টিম হতে পারে কোনো পুরুষ এমন কি গরু-ছাগল-হাঁস-মুরগি পর্যন্ত! তাই “আমার সৌন্দর্য আমার অধিকার” বা “আমার পোশাক পছন্দের অধিকার একমাত্র আমারই” বা “মনের পর্দাই বড় পর্দা” ইত্যাদি মনোভাব যেই বোনেরা পোষণ করেন, তারা প্রচ্ছন্ন ভাবে কোনো ধর্ষককে উস্কে দিচ্ছেন না তো?

ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহ কমানোর জন্য পশ্চিমা বিশ্বের পদক্ষেপ

পশ্চিমা বিশ্ব ধর্ষণ কমানোর জন্য সহশিক্ষা, ফ্রি মিক্সিং, ফ্রি সেক্সের মত বিষয়গুলোকে প্রোমোট করে। তাদের মতে নারীর কাছাকাছি আসার সুযোগ হলে বিষয়টা পুরুষদের জন্য সাদামাটা হয়ে যাবে। পুরুষকে বোঝানো হবে নারী আমার বন্ধু, আমার সহকর্মী। তাকে সম্মান করতে হবে, শ্রদ্ধা করতে হবে। এসব থিওরিটিক্যাল বিষয়গুলো অ্যাপ্লাই করার পর তাদের যৌন নির্যাতন আর ধর্ষণের মাত্রা আগের চেয়ে বেড়েছে বৈকি! লেখক তথ্য উপাত্ত সহ পশ্চিমা বিশ্বের এই দাওয়াইয়ের ফলে রোগ বেড়ে যাওয়ার চিত্র উল্লেখ করেছেন।

ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের প্রতিকারে ইসলামের দেয়া সমাধান

ইসলাম যেহেতু আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবনবিধান তাই এর প্রতিটি বিধান হতে হবে পূর্ণাঙ্গ, বাস্তবসম্মত ও অবশ্যই প্রায়োগিক। ইসলাম কিভাবে একটা সমাজ থেকে যৌন নির্যাতনের আশংকাকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছিল আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে, আর ইসলামী সমাজে তা আজ পর্যন্ত কার্যকর সেগুলোর বর্ণনায় বইটি শেষ হয়েছে। লেখক দেখিয়েছেন ইসলামী অনুশাসনই পারে, ধর্ষণের এই তিনটি ফ্যাক্টরকে একত্র হবার সকল রাস্তা বন্ধ করতে। একটা ধর্ষণ হবার পর আমরা আমজনতা অন্ধের হাতি দেখার মত করে বিষয়টা দেখি। কেউ বলি মেয়ের পোশাকের দোষ, কেউ বলি পুরুষের মানসিকতার দোষ। যার যার মত মতামত দিতে থাকি একপাক্ষিক ভাবে। কিন্তু ইসলাম বা কুরআন যেহেতু সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার থেকে এসেছে তাই এ সমস্যার সমাধানও পূর্ণাঙ্গ ভাবেই ইসলামে পাওয়া যায়। মাল্টিলেভেলের সমাধান রয়েছে ধর্ষণ সমস্যা সমাধানের। ইসলাম বলে পুরুষকে চোখ সংযত করতে, বিনা প্রয়োজনে নারীর দিকে দ্বিতীয় বার তাকানো কঠিনতম গুনাহ। পাশাপাশি নারীকে বলেছে সৌন্দর্য প্রদর্শন করে, পারফিউম দিয়ে, শব্দ করে (বা অলংকারের শব্দ করে) না চলতে। পুরুষকে বলা হয়েছে সামর্থ থাকলে দ্রুত বিয়ে করতে। সামর্থ না থাকলে রোজা রাখতে। কারণ রোজা যৌন চাহিদাকে প্রশমিত করে। পিতামাতা ও সমাজকে বলেছে জুড়িবিহীন নারী-পুরুষকে জোড়া দিয়ে দিতে।

যৌবনপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে বিয়ে পর্যন্ত মাঝের এই সময়টাকে ইসলাম মিনিমাইজ করতে চায়। কারণ এই ১০-১৫ বছর সময়ে বৈধ পন্থায় যৌন চাহিদা না মিটলে মানুষ বেছে নিবে অবৈধ পন্থা। মানুষের মনের অন্ধকার কুঠির, যার খবর অনেক সময় ব্যক্তি নিজেও জানে না। সেখানে ঢুকে নারী-পুরুষ নিজের মনের মত করে যৌন ফ্যান্টাসিতে ভুগবে। ইসলামের দৃষ্টিতে অপরাধ বলে গণ্য অনেক যৌন অপরাধে জড়াবে। তার ফ্যান্টাসির আগুণে ঘি ঢালার জন্য রয়েছে টেরা বাইট টেরা বাইট পর্ণ ভিডিও। পশ্চিমা বিশ্ব নারীর মনে ঢুকিয়ে দিয়েছে তাকে অনার্স-মাস্টার্স শেষে চাকরি না করে বিয়ে করা যাবে না। জব করা ছাড়া বিয়ে করলেই তার নারীত্বের প্রতি অপমান বলে দেখানোর চেষ্টা করছে। আমাদের বোনেরা সেই দাওয়াই গিলছে। ফলে শ্রমবাজার থেকে পুঁজিবাদীরা সস্তায় শ্রমিক পাচ্ছে। কোটি কোটি ডলারের পর্ণ বিজনেস চলছে। নারীকে দীক্ষা দিচ্ছে তোমার সৌন্দর্য প্রদর্শন করা তোমার অধিকার। পুরুষরা লোলুপ দৃষ্টিতে যত তোমার দিকে তাকাবে সেটা তোমার জন্য তত ক্রেডিটের বিষয়! ফেয়ার এন্ড লাভলি বিজ্ঞাপনে দেখায় রঙ ফর্সা না হওয়ার জন্য চাকরি হয় না। নারীর যোগ্যতাকে ছোট করে শুধু তার রঙ-পোশাককেই যোগ্যতার মাপকাঠি হিসাবে দেখিয়ে নারীদেরকে যে হেয় করা হচ্ছে তা আমাদের সমাজের অল্প নারীর মাথাতেই ঢোকে। বাকিরা মুভি-সিরিজ-বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসাবে দেখানোর প্রবণতাকে নারীর ক্ষমতায়ন আর নারীর স্বাধীনতা হিসাবেই দেখে।

বইটি সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক কিছু তথ্য

লেখকঃ ডাক্তার শামসুল আরেফীন

প্রকাশনীঃ সমর্পন প্রকাশন (দ্বিতীয় সংস্করণ, সেপ্টেম্বর ২০১৯)

পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৬৮

মুদ্রিত মূল্যঃ ২৫০ টাকা

বইটি পাওয়া যাবে কাটাবন মসজিদ মার্কেট সহ যে কোনো অনলাইন শপে। আমি বইটি কিনেছিলাম নিয়ামাহ বুকশপ থেকে। নিয়ামাহ বুকশপ থেকে বইটি অর্ডার করতে পারেন এখানে ক্লিক করে

বইয়ের লেখক, প্রকাশক ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদানের দুআ রইল।

সকল পাঠকের কাছে আন্তরিক অনুরোধ, আপনার দুআয় আমাকে রাখবেন। আল্লাহ যেন আমার ও আমার পরিবারের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ দান করেন। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সুখ ও প্রশান্তি দান করেন, যেন সকল পেরেশানী দূর করে দেন। আল্লাহ যেন আমাকে লোক দেখানো কাজ করা থেকে বিরত রাখেন। আল্লাহ যেন আমাকে ঋণগ্রস্থ না করে দেন। আল্লাহ যেন দুনিয়া ও আখিরাতে আমার দোষত্রুটি গোপন করেন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি ইলম অর্জন ও সেই অনুযায়ী আমল করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

6 thoughts on “মানসাঙ্ক – [বই রিভিউ – ৫]

  1. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
    জাজাকাল্লাহ খাইরান, এতো উপকারী একটা অ্যাপ
    প্রমোট করার জন্য। আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করেন।
    লাইফের বিভিন্ন সিচুয়েশনে অনেকভাবে উপকৃত হয়েছি এই অ্যাপ দিয়ে।

    কপি করে কোনো সামাজিক সাইট এ তো দেই না তবে সতর্ক করার উদ্দেশ্য কপি করে ফ্রেইন্ডস- ফেমিলি কে ও দেয়া যাবে না?
    অ্যাপ তো অনেকেই ইউজ করে কিন্তু সবাই এতো গুরুত্ব দিয়ে আর্টিকেল গুলা দেখে না।
    নির্দিষ্ট কিছু আর্টিকেল কপি করে দেখানো যাবে কি?

    1. আর্টিকেলের লিংক যে কারো সাথে যে কোনো মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন।
      জাযাকাল্লাহু খাইর।

  2. অনেকে বলে থাকেন যার হজ্ব করার সামর্থ নেই, তিনি যদি ওমরা করেন, ওমরা করার সময় স্বচক্ষে খানায় কাবা দেখলেই তার উপর হজ্ব ফরজ হয়ে যায়, এ ব্যাপারে কিছু জানা্বেন কি ?

  3. আসসালামু আলাইকুম। মাহরাম (পিতা ও কন্যা) নির্জনে কথা বলা যাবে না?যে হাদিস টার কথা উল্লেখ করেছেন দয়া করে তার রিসোর্স টা দিন।আমি বিস্তারিত জানতে চাই।

    1. আপু, পোস্টের একদম শেষের দিকে বলা হয়েছিল তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতি ব্যতীত নির্জনে সাক্ষাত করা হারাম। মাহরাম হলে তাদের নির্জনে সাক্ষাত হারাম নয়। আবু বকর (রা) ও আয়িশার (রা) যে ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে সেটা দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে বিষয়টা নিরুৎসাহিত করার জন্য। হারাম হিসাবে উপস্থাপন নয়।

      আমি বইটিতে এক নজর দেখেছি উক্ত বর্ণনাটি। কিন্তু এই মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছই না। আমার ঠিক মনে নাই উক্ত ঘটনাটি মানসাঙ্ক বইটিতে রয়েছে কিনা। না থাকলে হয়ত অন্য কোনো রিসোর্স থেকে পেয়েছিলাম। কিন্তু অনলাইনে হাদীসের ওয়েবসাইটগুলোতে সার্চ করে এমন কিছু পাচ্ছি না।
      আপনার কমেন্টের পর আমি দুইজন আলেমের কাছে এটার বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তারা বলেছেন তাহক্বীক করে জানাবেন। আমি আপাতত উক্ত বর্ণনাটিকে লেখা থেকে মুছে দিয়েছি। যদি রেফারেন্স খুঁজে পাই তাহলে ইনশাআল্লাহ আবার এড করে দিব এবং কমেন্টে আপনাকে রেফারেন্স জানিয়ে দিব।
      ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *